lunes, 4 de enero de 2016

Diego Arandojo দিয়েগো আরানদোহো

UNAS ALAS PARA LUCIO 
   Lucio tenía trece años y amaba las mariposas.

            –Volaré un día como ellas, ¡ya verán! –les advertía a sus compañeros de clase.

            Era un niño de tez morena, cabello trigueño y ojos miel. Dulce como leche de cabra.

            –¿Y si nunca obtienes alas? –interrogó Analía, ubicada a su lado. Estaban en el colegio. Era un martes frío y espeso.

            Lucio buscó una respuesta mas no la halló. No podía negar su sueño. Muchos menos concebir un futuro adverso a su premisa mariposil.

            –Volaré –recalcó, abriendo su cuaderno y dibujando una bonita mariposa.

           Algunos meses después la madre de Lucio perdió el rastro de su hijo. En la habitación del pequeño había un centenar de ilustraciones alegóricas al universo de las mariposas; libros, folletos y recetarios médicos.

            El investigador policial Facundo Roca determinó –después de una minuciosa pesquisa– que la hipótesis de secuestro era la más viable.

            –Me tildarán de insano, pero creo con firmeza que el niño Lucio A. fue secuestrado por la naturaleza.

            Hubo un silencio incómodo en la comisaría.

            –¿Cómo…? –soltó por sus labios la madre de la criatura.

            Facundo se aflojó la corbata. Tomó de las manos a la mujer. La miró con seriedad. En esos ojos había verdad.

            –La madre naturaleza, la Cíbeles , castiga a todo aquel que añora convertirse en bestia. Sin importar si se trata de un insignificante insecto o un bravo león –aseguró el investigador.

             La jornada fue extraña. En el cielo, en el viento, en los árboles de aquel pueblo todo se volvió misterioso.

            Lucio jamás volvió a ser visto. Sin embargo Analía (que había estado secretamente enamorado de él) se introdujo en un bosque cercano. Buscó y clasificó miles de mariposas hasta encontrar una que se posó en su boca, simulando un beso.

            La niña intentó atrapar al insecto… pero este voló muy alto, resguardándose entre las hojas de un roble.


লুসিওর জন্য কয়েকটি ডানা


বছর তেরোর লুসিও ভালোবাসত প্রজাপতি, অনেক অনেক প্রজাপতি।

- ওদের মতো উড়ে যাবো একদিন। দেখিস তোরা! ধমকের সুরে ক্লাসের বন্ধুদের ও বলল।

ঈষৎ চাপা রঙ সোনালি চুল আর মিষ্টি চোখ-এমনি ছোটবেলায় ছিল লুসিও। যেন ছাগলের দুধের মতো মিষ্টি একটা বাচ্চা।

- আর যদি কখনো ডানা খুঁজে না পাস? ওর গা ঘেঁষে দাঁড়ানো আনালিয়া বলল। সেদিন ওরা স্কুলে ছিল, সেই ঠান্ডা আর কু
য়াশায় মোড়া মঙ্গলবারে।
লুসিও উত্তর খুঁজে পেলো না, কিন্তু নিজের স্বপ্নকে অগ্রাহ্য করতে পারল না। অন্ততঃ প্রতিকূল ভবিষ্যতেও প্রজাপতি হওয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে--কল্পনা করে।

-আমি উড়বো, ও জোর দিয়ে বলে এবার, খাতা খুলেই এঁকে ফেলে সুন্দর একটা প্রজাপতি।

কয়েক মাস পরে লুসিওর মা ওর খোঁজ পেল না। ওর শোবার ঘরে পাওয়া গেল প্রজাপতি সমাজের একশো রূপকধর্মী ছবি, বই, পুস্তিকা আর ডাক্তারের প্রেসক্রিপসান।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ফাকুন্দো রোকা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর নিশ্চিত হলেন- অপহরণের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

- আমাকে সবাই পাগল বলবে, কিন্তু আমি খুব জোর দিয়ে বিশ্বাস করি, ছোট্ট লুসিও প্রকৃতির নিয়মেই হারিয়ে গেছে।

থানায় এক অস্বস্তিকর নীরবতা নেমে এলো।

মানে?- বিস্ময়ে হাঁ হয়ে গেল লুসিওর মা।

ফাকুন্দো নিজের টাইটা আলগা করলেন। লুসিওর মার হাত ধরে খুব গম্ভীরভাবে তাকালেন। সে চোখে কোনো মিথ্যা ছিল না।

- প্রকৃতি মা, সিবেলেস, সকলকে শাস্তি দেন যারা নিজেদের পশুতে রূপান্তর করতে চায়। এমনকি যদি তা তুচ্ছ পোকা বা সাহসী সিংহও হয়-বললেন তদন্তকারী অফিসার।

দিনটাই ছিল অদ্ভুত। আকাশ-বাতাস এমনকি গ্রামের গাছগাছালিও রহস্যময় হয়ে উঠল।

লুসিও কোনোদিনই সবার সামনে দিয়ে ফেরে না। যাই হোক, আনালিয়া ( মনের সঙ্গগোপনে ওকে ভালবাসতো) ঘরের কাছের জঙ্গলে প্রথম এলো। ও খুঁজে পেলো অনেক প্রজাপতি, ওদের বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত করল যতক্ষণ না একটা ওর মুখের ওপর এসে বসলো আর এঁকে দিলো চুমু।

আনালিয়া ওকে ধরার চেষ্টা করলো, কিন্তু প্রজাপতিটা উড়ে গেল অনেক উঁচুতে, ওক গাছের পাতায় আশ্রয় নিলো।

No hay comentarios:

Publicar un comentario